
তাঁর নামেই রয়েছে সেই প্রশ্নটি—কে ধানুশ? এখন সেই প্রশ্নই ঘুরছে সবার মুখে মুখে। ধানুশ আসলে কে সেই প্রশ্নের জবাব জানতে অধীর হয়ে আছে সবাই। কোনো সিনেমার গল্পের ক্লাইম্যাক্সের কথা বলছি। সত্যিই প্রশ্ন উঠেছে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এ অভিনেতার আসল পরিচয় নিয়ে। কারণ মাস দুয়েক আগে এ অভিনেতাকে নিজের ছেলে বলে দাবি করেন এক বৃদ্ধ যুগল। তাঁরা বিষয়টিকে নিয়ে গেছেন আদালত পর্যন্ত। আজ সেই মামলার শুনানির দিন। তাই জন্ম পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠা আলোচিত সেই নায়কের কথাই জানা যাক আজ—

ধানুশ প্রাথমিকভাবে এই দাবি অস্বীকার করেন। এরপর কাথিরেসান ও মীনাক্ষি দম্পতি বিষয়টি আদালতে তোলেন। তাঁরা ধানুশকে তাঁদের ছেলে হিসেবে দাবি করেন এবং বৃদ্ধ মা-বাবার ভরণপোষণ বাবদ মাসিক ৬৫ হাজার রুপি দাবি করে মামলা করেন। ওই দম্পতি আদালতে প্রমাণ হিসেবে তাঁদের ছেলে কালাইসেলভানের জন্ম নিবন্ধনপত্র ও ছবিও জমা দেন। কিন্তু ধানুশের আইনজীবী আদালতে দক্ষিণী তারকার বাবা কস্তুরী রাজা ও মা বিজয়ালক্ষ্মীর সংগ্রহে থাকা বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ছিল ধানুশের জন্ম নিবন্ধনপত্র, স্কুলের বদলিপত্র ও স্কুলের প্রত্যয়নপত্র।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের মাদ্রাজের উচ্চ আদালতে এ মামলার জের ধরে হাজির হন। সে সময় প্রতিপক্ষের আইনজীবী ধানুশকে ডিএনএ পরীক্ষা করানোর দাবি জানালে তা প্রত্যাখ্যান করেন ‘কোলাভেরি ডি’ গায়ক। তাঁর পক্ষে ধানুশের আইনজীবী বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে এড়িয়ে যান। তবে আদালত ধানুশকে জন্মদাগ পরীক্ষা করাতে আদেশ করেন। ধানুশকে সন্তান বলে দাবি করা দম্পতির দেওয়া বর্ণনার সঙ্গে ধানুশের শরীরের দাগ মিলিয়ে দেখার জন্য এ পরীক্ষা করানো হয়। সেই পরীক্ষার পরই আজ পড়েছে নতুন শুনানির তারিখ। গত ১৪ ফেব্রুয়ারির শুনানিতে মাদ্রাজ আদালত বলেছিলেন, এ মামলায় যে পক্ষের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হবে, তার জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন শাস্তি। তাই প্রিয় নায়কের জন্ম পরিচয়ের রহস্যের শেষটা জানতে অধীর হয়ে আছে অনেকে। সত্যিই ধানুশ মা-বাবাকে ছেড়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসা সেই ছেলেটি? নাকি বৃদ্ধ সেই দম্পতি হারিয়ে যাওয়া ছেলের খোঁজ করছেন ভুল মানুষের ভেতর?
Post a Comment