
দেশ-বিদেশে নারী পাচারের ঘটনা বেড়ে চলেছে ক্রমাগত। মূলত অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল মহিলাদের সফট টার্গেট বানিয়ে পাচার করে পাচারকারীরা। নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাচার করা হয় মহিলাদের। সেইসঙ্গে অঙ্গপাচারও বড় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে দেশ-বিদেশে।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রচার হয়েছে তা শুনলে চমকে উঠতে হয়। সংবাদমাধ্যমে দাবি, নারী পাচার নয়, পাচার হচ্ছে নারীদের গায়ের চামড়া। নেপাল সহ অন্যান্য জায়গা থেকে কাজের লোভ দেখিয়ে বেকার যুবতিদের নিয়ে আসা হচ্ছে মুম্বইতে। সেখানে তাদের জোর করে আটকে রেখে চামড়া কেটে নেওয়া হচ্ছে। সেই চামড়া ব্যবহার করা হচ্ছে পুরুষাঙ্গ ও বক্ষের সাইজ় বৃদ্ধির কাজে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কেটে নেওয়া চামড়া (১৩০ স্কয়্যার সেন্টিমিটারের দাম ১৫০ ডলার) ভারতের প্যাথলজি ল্যাবে বিক্রি হয় ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায়। এরপর তা পাঠানো হয় অ্যামেরিকাস্থিত কোনও ফার্মে। যেখানে কৃত্রিম চামড়া ও কোষ তৈরি করা হয় কসমেটিক সার্জারির জন্য। ঠোঁটের সার্জারি ও প্লাস্টিক সার্জারির কাজেও লাগে ওই চামড়ার কোশ।
মানবকোশের চাহিদা প্রচুর থাকায় এই ব্যবসাও বেশ লাভজনক। তাই, ক্রমশ ব্যবসার নেটওয়ার্ক বেড়ে চলেছে। মুম্বই সহ দেশের অন্যপ্রান্তের পতিতালয় থেকে মহিলাদের চামড়া পৌঁছে যায় স্কিন ফ্যাক্টরিগুলিতে। খুন ও নির্যাতনের ভয়ে অভিযোগ জানাতে চান না মহিলারাও।
জানা গেছে, পতিতালয়ে মহিলাদের ড্রাগ সেবন করিয়ে বিছানায় জোর করে বেঁধে রাখা হয়। এরপর চামড়া কেটে নেওয়া হয় শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে (মূলত পিঠ ও নিতম্বের উপরের অংশ থেকে চামড়া কাটা হয়)।
এ বিষয়ে নেপাল প্রশাসন জানিয়েছেন, সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে। মহিলাদের রক্ষা করা সরকারের কর্তব্য। এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “প্রতিশ্রুতি দিয়ে চামড়া, কিডনি পাচার আটকানো যাবে না। এর জন্য দরকার কঠোর পদক্ষেপের।”
নেপালের মহিলা, শিশু ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী কুমার খাদকা একটি সংবাদসংস্থাকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, রিপোর্টের কথা জানতে পেরে চমকে গিয়েছি। টাকার লোভ দেখিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে নিয়ে গিয়ে নারী পাচার, কিডনি পাচার, যৌন নির্যাতনের কথা অনেক সময় শোনা যায়। কিন্তু, চামড়া পাচারের কথা আগে শোনা যায়নি। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
Post a Comment