যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এখনও আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পাননি ট্রাম্প। আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দায়দায়িত্ব বুঝে নেবেন তিনি।

কিন্তু তার আগেই মার্কিন প্রশাসনে কানাঘুষা শুরু হয়েছে ট্রাম্পের মেয়েজামাইকে নিয়ে। নতুন প্রশাসন গঠনে স্থবিরতা থেকেই এ সমালোচনা সামনে এসেছে। হোয়াউট হাউস দপ্তরের শীর্ষস্থানীয়দের ফিসফিসানি, ট্রাম্প হবেন নামমাত্র প্রেসিডেন্ট। পর্দার আড়ালে বসে প্রশাসনের কলকাঠি নাড়বেন তার মেয়েজামাই। এমন গুজবও উঠেছে, দিনের শুরুতে মেয়ে ইভাঙ্কা ও তার ইহুদি স্বামী জ্যারেড কুশনারের মেজাজ ধরতে পারলেই যুক্তরাষ্ট্রের ওই দিনের হালহকিকত বোঝা হয়ে যাবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন পোস্ট ও এএফপির প্রতিবেদনে এ খবর চাউর হয়েছে।
ট্রাম্পের সরকার গঠনের উদ্যোগে যে স্থবিরতা নেমে এসেছে, তার নেপথ্যে প্রধান কুশীলবের ভূমিকা পালন করেছেন তার মেয়ে ও জামাতা জ্যারেড কুশনার। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন, পলিটিকো, নিউইয়র্ক টাইমসসহ বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম খবরটি নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, জামাতার 'রাজনৈতিক প্রজ্ঞা'র প্রতি ট্রাম্পের অগাধ আস্থা। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সে আস্থার সুযোগ নিয়েই ব্যক্তিগত প্রতিশোধস্পৃহা থেকে তিনি অন্তর্বর্তী দলটির নেতৃত্বে থাকা নিউ জার্সির গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টিসহ তার অনুসারীদের ক্ষমতা খর্ব করেছেন। এতেই সরকার পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় স্থবিরতা নেমে এসেছে। এক সপ্তাহের মধ্যেও নিজের মন্ত্রিসভা ঠিক করার কাজটাও করতে পারেননি তিনি।
ট্রাম্পের ১৬ সদস্যের অন্তর্বর্তী দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন নিউ জার্সির গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি। নির্বাচনী প্রচারে যে ক'জন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিককে ট্রাম্প নিজের পাশে পেয়েছিলেন, ক্রিস্টি তাদের অন্যতম। বলা হচ্ছে, ট্রানজিশন টিমের সাবেক প্রধান ক্রিস ক্রিস্টির সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই নাকি পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন তিনি। ক্রিস্টির নেতৃত্বে ওই অন্তর্বর্তী দল কাজ করছিল। তিনি চলে যাওয়ায় এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। মন্থর হয়েছে কাজের গতি।
Post a Comment