অপরাধ যে-ই করবে তাকে শাস্তি পেতেই হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সিলেটে খালিজাকে হত্যাচেষ্টার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, অনেকে এটিকে দলীয় রূপ দিয়ে পানি ঘোলা করতে চাচ্ছেন।
এখানে কোনো দলীয় কোন্দল ছিল না বা দলীয় কারণে মারতে যায়নি। প্রেম নিবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়ে তাকে হত্যা করতে গেছে। কিছু পত্রিকা ও লোক এটাকে দলীয় হিসেবে প্রচার করছে। দলীয় হিসেবে তাদের প্রশ্রয় দেয়া হবে না জানিয়ে অপরাধ যে-ই করুক শাস্তি তাকে পেতেই হবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের সমাপনী অধিবেশনে সংসদ নেতা বলেন, কিছু ঘটনা ঘটে দুঃখজনক। সিলেটে কোপানোর ঘটনাটা আমার কাছে অবাগ লেগেছে। যখন কোপায় তখন মানুষ দেখে ছবি তুলেছে, ভিডিও করেছে। কেউ বাঁচাতে এগিয়ে এলো না। তারা কি পারত না তাকে বাঁচাতে? তাদের হাতে কি কিছুই ছিল না ওই ছেলেটাকে ধাওয়া করার জন্য। এটি কি ধরনের মানবতা। কেন মানবিক মূল্যবোধ এভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে! দাঁড়িয়ে থাকা লোকগুলো কি তাকে ধাওয়া দিতে পারত না, তারা কি মেয়েটাকে রক্ষা করতে পারত না? কেন এই মানবিক মূল্যবোধগুলো হারিয়ে গেল। তিনি বলেন, কিছু বড় বড় পত্রিকা, কিছু লোক এটিকে দলীয় হিসেবে প্রচারের চেষ্টা করছে। এটি কোনো রাজনৈতিক বা দলীয় কোন্দল ছিল না। এ ঘটনা সবাই জানে, পত্র-পত্রিকায়ও এসেছে। যা প্রেমঘটিত। প্রেমে প্রত্যাখ্যান হওয়ায় এটি করেছে। প্রত্যাখ্যান হওয়ায় এভাবে কুপিয়ে মারবে? আমরা দলীয় হিসেবে প্রশ্রয় দেবো না।
যারা অপরাধী, যেই অপরাধ করুক তাকে শাস্তি পেতে হবে। আর নৃশংসতা, প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা বিএনপিই শিখিয়েছে। কে কোন দল করে সেটি আমি দেখব না, দেখা হবে না। যে অপরাধী তার বিচার হবেই। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে আছে, এটা প্রমাণিত। অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থাও তা স্বীকার করতে বাধ্য। আমরা যখন সরকার গঠন করি, সারাবিশ্বে তখন অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছিল। সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে আমরা আমাদের অর্থনীতি নীতিমালা বাস্তবায়ন করেছি বলেই আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারাদেশে স্বীকৃতি পেয়েছে। সরকারপ্রধান বলেন, সারাদেশে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। যেখানে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড় ধরনের কলকারখানা গড়ে উঠবে। যেখানে কর্মসংস্থান তৈরি হবে। উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, রফতানি বৃদ্ধি পাবে। ইতোমধ্যে আমাদের দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। এই আয় আরো বৃদ্ধি পাবে। দারিদ্র্যের হার কমেছে। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হবে। ইতোমধ্যে আমরা নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। কিন্তু সেখানে আমরা তৃপ্ত নই। আমরা আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে চাই। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এর প্রকৃত উদাহরণ হচ্ছে আমি বিদেশে বসেই অনলাইনে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ৫২টি ফাইল পাস করতে সক্ষম হয়েছি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমি যে পুরস্কার পেয়েছি তা আমার একার নয়, এটি এদেশের জনগণের। যতটুকু অর্জন তা বাংলাদেশের জনগণের। ভোটাররা আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় এ পুরস্কার অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য জনগণকে বেশি কৃতজ্ঞতা জানাই।
Post a Comment