বেসিসের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত নির্বাচনে
দাপুটে বিজয় পেয়েছে ডিজিটাল ব্রিগেড প্যানেল। এই সাফল্যের বাস্তবতা,
অনুপ্রেরণা ও ভবিষ্যত পথ চলা নিয়ে বলেছেন প্যানেলটির প্রধান
তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার।
দেশের সফটওয়্যার প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের
শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন
সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০১৬-২০১৯ সেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল শনিবার
(২৫ জুন)। নির্বাচনে তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার ও মাইক্রোসফট এমডি
সোনিয়া বশির কবিরের নেতৃত্বাধীন দুটি প্যানেল অংশ নেয়। প্যানেল দুটিতে ৯ জন
করে ১৮ জন প্রার্থী যোগ দেয়ার পরও স্বতন্ত্র প্রার্থী লড়েছেন আরও চারজন।
নানা আলোচনা-সমালোচনা, ঘটন-অঘটন,
প্রচার-প্রচারণায় সংগঠনটির নির্বাচনী ইতিহাসে এমন সরগরম পরিস্থিতি আর দেখা
যায়নি। নির্বাচনে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা, নিজেদের তুলে ধরা, নানা
প্রতিশ্রুতি, পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণাও ছিল তু্ঙ্গে।
অবশেষে নির্বাচনে ফলাফলে বলা চলে একক
সাফল্য পায় ডিজিটাল বিগ্রেড। প্রতিপক্ষ প্যানেল দ্য চেইঞ্জ মেকার্সকে বিপুল
ব্যবধানে হারায় তারা। কার্যনির্বাহী ৯ টি পদের মধ্যে ৭টিই দখল করে নেয়
প্যানেলটি, যার নেতৃত্বে ছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সদস্য, বিজয়
কিবোর্ড ও সফটওয়্যারের প্রণেতা এবং বেসিসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোস্তাফা
জব্বার।
নির্বাচনে নিজ প্যানেলের বিজয়ের পেছনের
কথা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যত বেসিসকে এগিয়ে নেয়ার নানা কথাই টেকশহরডটকমকে
বলেছেন এই তথ্যপ্রযুক্তিবিদ।
প্রশ্ন : নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে আপনার নেতৃত্বাধীন প্যানেল ডিজিটাল বিগ্রেড। এই সাফল্যের পেছনে প্রধান কারণগুলো কি ?
মোস্তাফা জব্বার :
বেসিসের সদস্যরা হঠকারিতায় বিশ্বাস করে না। তারা দেশকে ভালবাসে দেশের
তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে ভালবাসে। তারা দেশীয় সফটওয়্যার উৎপাদন করে তার নিজের
দেশে বিদেশী সফটওয়্যারের আগ্রাসন প্রতিহত করতে চায়। তারা আমাদেরকে দেশের
পক্ষে, দেশীয় সফটওয়্যার ও সেবা খাতের পক্ষে রায় দিয়েছে। এবারও প্রমাণ হলো
সাধারণ মানুষ কখনও ভুল করে না। তারা অপপ্রচার-নোংরামি-হুমকি-ধামকিকে
ব্যালটের মাধ্যমে প্রতিহত করেছে। যারা নোংরামি করেছে তারা দাঁতভাঙ্গা জবাব
পেয়েছে। তারা এটিও প্রমাণ করেছে যে বিদেশী কোনো প্রতিষ্ঠান বেসিসের নেতৃত্ব
দিক সেটি তারা চায় না।
প্রশ্ন : দায়িত্ব নিয়ে কোন কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দেবেন ? সমস্যা ও সম্ভাবনার জায়গাগুলো এক কথায় যদি উল্লেখ করেন।
মোস্তাফা জব্বার : আমাদের ইশতেহার বাস্তবায়নকে গুরুত্ব দেব।
প্রশ্ন : বিজয়ের সঙ্গী আপনার প্যানেল সদস্যদের প্রত্যেকের সম্পর্কে একটু করে বলবেন কি?
মোস্তাফা জব্বার : আমার
প্যানেলের ৪ জন বিদ্যমান পরিচালক জয়ী হয়েছেন। আগের বোর্ডের একজন পরিচালক
জয়ী হয়েছেন। একজন নবীনও জয়ী হয়েছেন। যারা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন
করেছেন তারা বেসিস সদস্যদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। নবীন সদস্যটিও
তারুণ্যের প্রতীক হিসেবে বেসিস ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন। এতে
বোঝা যায় বেসিসের ভোটাররা সমন্বয়কে গুরুত্ব প্রদান করে।

প্রশ্ন : সফটওয়্যার
খাতে ট্রেডবডি হিসেবে বেসিস নিয়ে সর্বস্তরেই বিপুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এর
পেছনে প্রধানত অবদান কার? এই আগ্রহ ও প্রত্যাশাকে কীভাবে দেখছেন ?
মোস্তাফা জব্বার : বেসিস
শূণ্য থেকে ১৯ বছরে আজকের স্তরে এসেছে। এর প্রধান কৃতিত্ব বেসিস সদস্যদের।
এর বাইরেও এই সময়ে যারা বেসিসের নেতৃত্ব দিয়েছেন এই কৃতিত্ব তাদের সকলেরও।
প্রশ্ন : নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে মজার কোনো ঘটনা রয়েছে কী, যা সামনের দিনগুলোতে আপনাকে অনুপ্রেরণা দেবে।
মোস্তাফা জব্বার : আমি বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে নতুন করে আবিষ্কার করেছি। এটি আমার সামনের পথ চলায় সহায়তা করবে।
Post a Comment