২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর দিলকুশাস্থ চেম্বার ভবনের বোর্ডরুমে এক সভায় এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
বিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিসিআই কর্মকর্তারা ১০ম বারের মতো বাজেট উপস্থাপন করায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানানো হয় বিসিআইয়ের পক্ষ থেকে। বিসিআই কর্মকর্তারা মনে করেন, বর্তমান বাজেট বৃহদাকার হলেও এটি অতীত বাজেটগুলোরই ধারাবাহিকতা। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশের পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে এ বাজেটে মাথাপিছু আয়ের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা, উন্নতর আয়ের সুফল সর্বজনীন করা, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে যা ইতবাচক। তারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে পোশাক শিল্পের জন্য কর্পোরেট কর ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে।
এটা অবশ্যই প্রশংসনীয় কিন্তু উৎপাদনমুখী সব শিল্পের জন্য এ কর হার সম্প্রসারণ করা উচিত বলে বিসিআই মনে করে। তবে উৎসে করের ঘোষণা বাস্তবায়ন হলে সমস্যার মুখে পড়তে হবে পোশাক খাতকে। বিসিআই নেতারা জানান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের প্যাকেজ মূসক চালু রাখার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানো হয়। যদিও প্যাকেজ মূসক দ্বিগুণ করার জন্য ব্যবসায়ীদের ওপর একটা চাপ পড়বে এবং অনেক ব্যবসায়ী মূসক প্রদানে ব্যর্থ হবে। যার ফলে, সরকার অধিক পরিমাণ রাজস্ব হারাবে। সুতরাং প্যাকেজ মূসক যৌক্তিক হারে কমানোর প্রয়োজন। মূসক আইন এক বছর স্থগিতের জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়। এ আইন কার্যকর করার আগে সচেতনতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। বক্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সরকারি খাতের ব্যাংকের জন্য নতুন করে দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে যা মোটেও ঠিক নয়। সাধারণ মানুষের করের টাকায় ভর্তুকি দিয়ে ব্যাংক চালানোর কোনো মানেই হয়না।
এ টাকা অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় করার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি অলাভজনক সরকারী ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ অথবা বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার প্রস্তাবিত বাজেটে ১২ শত পণ্যের উপর সম্পুরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে যা দেশীয় শিল্পের জন্য ক্ষতিকর হবে। এ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে দেশীয় শিল্প বাজার হারাবে, অনেক শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে যার ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ব্যহত হবে, অনেক মানুষ বেকার হয়ে পড়বে, সর্বোপরি সরকার প্রচুর রাজস্ব হারাবে।
Post a Comment