সরকারের তরফ থেকে গণমাধ্যমের ওপর প্রতিনিয়তই নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসন চলছে। তার ওপর গণমাধ্যমকে আরো বেশি মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ করতে ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার বন্ধে সংবাদ পর্যবেক্ষণের জন্য’ মিডিয়া মনিটরিং সেল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এ যেন মড়ার ওপর খাড়ার ঘা।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ সব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বর্তমান দুঃশাসনের কবলে পড়ে এমনিতেই গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রিত। ভোটারবিহীন সরকারের তরফ থেকে গণমাধ্যমের ওপর প্রতিনিয়তই নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসন চলছে। বিশেষ বিশেষ জায়গা থেকে ফোন করে সংবাদ সেন্সর করার জন্য ধমক দেয়া হচ্ছে এবং পরিকল্পিতভাবে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হচ্ছে। তার ওপর গণমাধ্যমকে আরো বেশি মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ করতে মিডিয়া মনিটরিং সেল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বুধবার জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এ যেন মড়ার ওপর খাড়ার ঘা।
তিনি আরো বলেন, এর আগে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমেও গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এমনকি দেশীয় গণমাধ্যমের বিকাশের নামে বিদেশি গণমাধ্যমকেও নিয়ন্ত্রণের সার্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ আলামত কোনো শুভ লক্ষণ নয়।
বিএনপির সিনিয়র এ যুগ্ম-মহাসচিব দাবি করে বলেন, সরকারের অনাচার ও দুর্নীতির গন্ধ বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় তারা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এখন সেই দুর্গন্ধ চেপে রাখতে ভোটারবিহীন সরকার মিডিয়াসহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণে বেপরোয়া আগ্রাসন চালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
রিজভী বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের সকল ঘৃণ্য প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা, ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে এ সব অপচেষ্টা থেকে তাদেরকে সরে আসার আহ্বান জানান।
Post a Comment